বিশ্ব পরিস্থিতি কেমন
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
কাল পরিক্রমায় আরো একটি ইংরেজি বর্ষ-২০২৪ শেষ হয়ে ইতিহাসের অতল গহ্বরে ঠাঁই নিয়ে নতুন বর্ষকে সাগ্রহে বরণ করে নেওয়ার জন্য বর্ণাঢ্য আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ। উপরন্তু বিদায়ী বছর-২০২৪ সালের সালতামি শুরু হয়েছে সর্বত্রই। বিশেষ করে যুদ্ধ-বিগ্রহ, রাগ-বিরাগ, প্রেম-ভালবাসা, সৃষ্টি-ধংস, দুর্যোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, গণতন্ত্র, নির্বাচন, মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য, পরিবেশ, অর্থনীতি, মানবাধিকার ইত্যাদির। বিদায়ী বছরের সর্বাধিক আলোচ্য বিষয় হয়েছে, মূল্যস্ফীতি। আর সর্বাধিক ব্যবহার হয়েছে এআই ভিত্তিক রোবটের কর্মকা-। অত্যধিক মূল্যস্ফীতির কারণে বহু দেশের উন্নতি স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে করোনাসৃষ্ট বৈশ্বিক মহামন্দা থেকে উত্তরণ সম্ভব হয়নি। উপরন্তু বৈশ্বিক দারিদ্র্য বেড়েছে। বিভিন্ন তথ্য মতে, ২০২৪ সালে বিশ্বের বহু দেশে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া ছাড়াও ৬২টি দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে অনেক দেশে সরকারি দল বিজয়ী হয়ে পুনরায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। আবার অনেক দেশে সরকারি দল পরাজিত হয়েছে এবং বিরোধী দল বিজয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হয়েছে। বহু দেশে জাতীয় নির্বাচনের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য ব্যাপক আন্দোলন হয়ে বিরোধীরা বিজয়ী হয়েছে। এ ধরনের দেশগুলোর মধ্যে সিরিয়া ও বাংলাদেশ অন্যতম। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ গৃহযুদ্ধে পরাজিত হয়ে পরিবারের সব সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। বিদ্রোহীরা ক্ষমতাসীন হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরাইলের ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরতায় গাজায় ৪৫ হাজারের বেশি বেসামরিক নিরীহ ও নিরস্ত্র মানুষ নিহত হয়েছে ও লক্ষাধিক লোক আহত হয়েছে। সমগ্র ফিলিস্তিন বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে গাজা! লেবাননও ইসরাইলের ভয়াবহ আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। সর্বোপরি উক্ত এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সহায়তায় ইসরাইল ইরানের সহযোগীদের তথা হামাস, আসাদ ও হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করে তাদের তথা ইসরাইল ও আমেরিকার একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছে। এখন তাদের টার্গেট ইরান। সে লক্ষ্যে সমগ্র এলাকায় শিয়া-সুন্নি মতভেদ জাগ্রত করার চেষ্টা করছে। সেটা হলে সার্বিকভাবে মুসলিমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অ্যামনেস্টি ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ তুলেছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধে। অন্যদিকে, আসাদের পতনে তুরস্কের ভূমিকা সর্বাধিক রয়েছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান দাবি করেছেন। অবশ্য আসাদের পতনে তুরস্কের প্রধান লাভ হচ্ছে সেদেশে অবস্থানরত ৩০ লাখ সিরীয় শরণার্থী দেশে ফেরত গেলে তুরস্ক বড় একটি সংকট থেকে মুক্ত হবে। উপরন্তু সীমান্ত সংলগ্ন দেশটিতে বন্ধুভাবাপন্নরা ক্ষমতায় থাকলে ক্ষতির চেয়ে লাভই হয় বেশি। চীনের আর্থিক, বাণিজ্যিক ও সামরিক শক্তিমত্তা এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট শির বিশ্বের নেতৃত্ব অব্যাহত রয়েছে। তাই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ আমেরিকা ও তার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রধান টার্গেট হচ্ছে চীন ও দেশটির প্রেসিডেন্ট শি।
আমাদের দেশের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বিশ্বের নিকৃষ্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে গত ৫ আগস্ট। তিনি পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। উপরন্তু তার সরকার ও দলের প্রায় সব বড় নেতা দেশ থেকে পালিয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। প্রচ- জনরোষে হাসিনার বাসভবনÑ গণভবন তছনছ হয়ে বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের এই আন্দোলন বিশ্বসেরা হিসেবে খ্যাত হয়েছে। দ্য ইকোনমিস্টের কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার ২০২৪ খেতাব জিতেছে বাংলাদেশ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাড়ে ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের পতন হওয়ায় এটি অর্জিত হয়েছে। আর বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করায় রানারআপ হয়েছে সিরিয়া। অপরদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মেয়াদ তিন বছর অতিক্রান্ত হলেও এ যুদ্ধের সমাপ্তি হবে কবে তা অনিশ্চিত। পশ্চিমাদের পূর্ণ সহায়তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলোনেস্কি ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। অবশ্য আমেরিকায় ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সহায়তা সংকুচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা হলে জেলোনেস্কির যুদ্ধাভার দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। ট্রাম্পের প্রভাবে পুতিনও শান্তি চুক্তি করে রণে ভঙ্গ দিতে পারে। ট্রাম্প ন্যাটো ও ইউরোপের দেশগুলোকে সহায়তা করার বিরোধী হওয়ায় ন্যাটো ও ইউরোপ দুর্বল হয়ে পড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে দুঃশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। উপরন্তু ইউরোপে রাশিয়া ভীতিও বাড়ছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশে এবং আমেরিকায় নির্বাচন হয়েছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে। তবে, সেখানে শ্বেতাঙ্গবাদিতা বেড়েছে! উপরন্তু দেশগুলোতে আইটির ব্যবহার এবং মহাবিশ্বের কর্মকা- বেড়েছে। তবে, দেশগুলো বৈশ্বিক মহামন্দার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি মূল্যস্ফীতি বেশি হওয়ায়। নাসার বিজ্ঞানী সুনিত্রা ও তার সঙ্গীরা কয়েক মাস যাবত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করছে। সেখান থেকেই তারা মার্কিন নির্বাচনে ভোট দিয়েছে এবং ক্রিসমাসডে পালন করেছে। সামরিক, উদ্ভাবন ও শিল্প-সাহিত্যে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর প্রাধান্য বহাল আছে। তবে, মার্কিন ডলার চ্যালেঞ্জে পড়েছে, মানও কমেছে। বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ বেড়েছে এ বছর। তন্মধ্যে চীন ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ বেশি হয়েছে। নাসার মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছেছে (সূর্য থেকে ৩৮ লাখ মাইল দূরে রয়েছে)। এটি ২০১৮ সালে সূর্যকেন্দ্রিক যাত্রা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এটি সূর্যের চারপাশে ২১ বার প্রদক্ষিণ করেছে।
চীন ও আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সার্বিক সম্পর্ক বেড়েছে। চীন পৃথক মহাকাশ স্টেশন তৈরি করে বিভিন্ন পরীক্ষা চালাচ্ছে। মহাবিশ্বের কর্মকা- সর্বাধিক চীনের। চীনের আকাশ অর্থনীতি ক্রমশ বাড়ছে। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে এর বাজার ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে (প্রায় ২৭৯ বিলিয়ন ডলার) পৌঁছবে। একই সময়ে দেশটিতে ৬জি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। চীনের মহাকাশযান এ বছর চন্দ্র থেকে নমুনা নিয়ে ফিরেছে। উপরন্তু দেশটির নবআবিষ্কৃত হাইপারসনিক ‘স্মার্ট শেলের গতি শব্দের ৭ গুণ বেশি। নিক্ষেপের পরেও এটি দিক পরিবর্তন করতে সক্ষম। চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক গভীর হয়েছে। চীন-ভারত সীমান্ত যুদ্ধ হয়েছে অনেক। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি শান্তি চুক্তি হয়েছে। খেলায় চীনের প্রাধান্য অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমারের মূল শহর ছাড়া বাকী অংশ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তবুও দেশটির জান্তা সরকার ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ। ফলে সেখানে গৃহযুদ্ধের অবসান কবে হবে তা অনিশ্চিত। এদিকে, বাংলাদেশ লাগায়ো আরাকান রাজ্যে আরাকান আর্মি বিজয়ী হওয়ায় সেখানের বহু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। ফলে বাংলাদেশে শরণার্থী সংকট বাড়ছে! ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। সুদান দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে!
বাংলাদেশের স্থায়ী গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নতির জন্য রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দলে সংস্কার অত্যাবশ্যক হওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। অন্যদিকে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকামী রাজনৈতিক দলগুলো দূত নির্বাচনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের প্রশ্নও উঠেছে। এসব নিয়ে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিন্তু সেটা হলে পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক ধ্বংসপ্রাপ্ত আর্থিক খাতসহ সব প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠু ধারায় প্রতিষ্ঠিত করা কঠিন হতে পারে। বাংলাদেশের টাকার মান এশিয়ার দেশগুলোর মুদ্রার মধ্যে সর্বনি¤œ হয়েছে, বেকারত্ব, মার্কিন ডলার, জ্বালানি সংকট ব্যাপক হয়েছে! উপরন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ, প্রযুক্তি ইত্যাদির চিত্রও খারাপ! দুর্নীতি, খুন, ধর্ষণ, দুর্ঘটনা এবং সব ধরনের দূষণ, ব্যাংকের খেলাপি ঋণ, মাদকের ব্যবহার বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক! বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২৪ মতে, ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৪তম। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দিয়েছে অনেক! হাসিনার পতনকে নিজেদের পরাজয় মনে করে ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে দু-দেশের সম্পর্ককে বিষিয়ে দিয়েছে। উপরন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত হত্যা কমেনি। শ্রীলংকার নির্বাচনে কমিউনিস্টরা জয়ী হয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। আর্থিক দেউলিয়াত্ব থেকে উত্তরণ ঘটেছে। ভারতে আর্থিক খাতের উন্নতি খুব কম হয়েছে। হিন্দুত্ববাদী জাগরণের ঢেউ কিছু দুর্বল হয়েছে। কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তবে, ভারতের আইটি ও মহাবিশ্ব খাতের উন্নতি বেড়েছে। পাকিস্তান আর্থিক দেউলিয়াত্ব থেকে কোনো মতে রক্ষা পেয়েছে। তবে বিপুল বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই অস্থিতিশীল। সামরিক শক্তি ও মহাকাশের কাজকর্ম বেড়েছে। নেপালের নির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে এবং চীনের সাথে সখ্য বৃদ্ধি করেছে। থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অব্যাহত রয়েছে। আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোয় গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের উন্নতি হয়নি তেমন।
বায়ুম-লের উষ্ণতা কমানোর জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বেড়েছে সারাবিশ্বেই। তবুও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমেনি। বরং কয়লার ব্যবহার বেড়েছে ভারত ও চীনে। কার্বন নির্গমন কমাতে ই-ট্রাক চালু হয়েছে এ বছর। চীন বিশ্বের সর্বোচ্চ (সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার মিটার উপরে) সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ চালু করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহার বিশ্বে সর্বাধিক চীনে।
ইন্টারগভর্নমেন্টাল সায়েন্স-পলিসি প্লাটফর্ম অন বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড ইকো সিস্টেম সার্ভিসেসের (আইপিবিইএস) সাম্প্রতিক প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, কিছু অর্থনৈতিক কর্মকা- দৃশ্যত মানুষের উপকার করলেও জীব বৈচিত্র্যের বড় ধরনের ক্ষতি করছে, যার পরিমাণ বছরে বিশ্ব অর্থনীতির ২৫ লাখ কোটি ডলার। ২০২৪ সালে বিশ্বের ৪৫টির বেশি দেশে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। তাতে প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছিল। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কয়েকশ’ বিলিয়ন ডলার। বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ধরে রাখার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। বরং বেড়ে ১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়েছে। ফলে সোয়া এক লাখ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হয়েছে ২০২৪ সাল বলে বিজ্ঞানীদের অভিমত। মিশর, সুদান থেকে চাদ ও লিবিয়া পর্যন্ত বালুর স্তূপের নিচে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ পানির ভা-ার পাওয়া গেছে গত সেপ্টেম্বরে। সেনা অভ্যুত্থানের কারণে সুদানের সদস্যপদ বাতিল করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। জাতিসংঘ আয়োজিত প্লাস্টিক দূষণ রোধের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে কিছু দিন আগে! বৈশ্বিক নারী-পুরুষ, জাতিগত ও বর্ণ বৈষম্য কমেনি! বিশ্বে বেকারত্ব বেড়েছে।
জীবন ক্ষণিকের। তাই বেঁচে থাকার দিনগুলোকে সুখী, স্বাস্থ্যসন্মত, দারিদ্রমুক্ত, হিংসা-বিদ্বেষযুক্ত করা দরকার। সে লক্ষ্যেই শ্রমের ন্যায্য মজুরি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ রক্ষা, নারী নির্যাতন ও বৈষম্য দূর এবং গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার রক্ষাই হোক বিশ্ববাসীর প্রধান কাজ।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম